الحميد
(الحمد) في اللغة هو الثناء، والفرقُ بينه وبين (الشكر): أن (الحمد)...
নু’মান ইবন বশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা তোমাদের (সালাতের) কাতার অবশ্যই সোজা কর, নতুবা আল্লাহ তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন। (অথবা তোমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।)” অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাতারসমূহ এমনভাবে সোজা করতেন, যেন তিনি তার দ্বারা তীর সোজা করছেন। যতক্ষণ না তিনি অনুভব করতেন যে, আমরা তাঁর নিকট থেকে এর গুরুত্ব বুঝে নিয়েছি। অতঃপর একদিন তিনি (সালাত পড়ার জন্য) বের হয়ে তিনি (ইমামের জায়গায়) দাঁড়ালেন। এমনকি তিনি তাকবীর বলে সালাত শুরু করতে যাচ্ছেন, এমতাবস্থায় তিনি একটি লোককে দেখলেন যে, সে তার বুক কাতার থেকে বের করে রেখেছে। সুতরাং তিনি বললেন, “হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্ব দেন যে, যদি কাতার সোজা না করে তখন আল্লাহ যাদের কাতার বাঁকা তাদের চেহারার মধ্যে পরিবর্তন করে দিবেন। আর এটি তখন হবে যখন তাদের কাতারে একজন আগে পিছে দাঁড়াবে এবং তাদের মাঝে ফাঁকা থেকে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের কথার মাধ্যমে শেখাতেন এবং কাজের মাধ্যমেও দেখাতেন। তিনি তাদের কাতার নিজ হাতে ঠিক করতেন, এক পর্যায়ে তার ধারণা হয় যে, তারা জেনেছেন এবং বুঝেছেন। কোনো এক সালাতে একজন সাহাবীর বুক অন্যান্য সাহাবীদের মধ্যে প্রকাশ পেল। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষুব্ধ হলেন এবং বললেন, তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন।”