المحيط
كلمة (المحيط) في اللغة اسم فاعل من الفعل أحاطَ ومضارعه يُحيط،...
আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাক্বীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু‘তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ‘ করবে। অতঃপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর ধীরস্থীরভাবে সাজাদহ করবে ও সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর তোমার পুরো সালাতে এভাবেই করবে।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন খাল্লাদ ইবন রাফে‘ নামক একজন সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং (সালাতের) কথা ও কর্ম অপূর্ণাঙ্গ রেখে সংক্ষিপ্ত সালাত আদায় করলেন। যখন তার সালাত থেকে ফারেগ হলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাকে সালাম করলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাতের মত দ্বিতীয় সালাতও আদায় করল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল। তিনি তাকে বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সাহাবী এভাবে কসম খেয়ে বলল, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। যখন সে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করল, তার মন ইলমের দিকে ঝুকালো, শিক্ষা কবুল করার জন্য প্রস্তুত হলো এবং বারবার ফিরিয়ে দেওয়ার পর ভুলক্রমে করার সম্ভাবনা দূর হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যার অর্থ, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তুমি তাহরীমার তাকবীর বলবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়ার পর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু‘তে যাবে ও ধীরস্থিরভাবে রুকূ‘ করবে। তারপর তুমি রুকূ হতে উঠে সোজা হয়ে দাড়াবে এবং দাঁড়ানো অবস্থায় তুমি ধীরস্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর তুমি সেজদা করবে এবং ধীরস্থীরতা অবলম্বন করবে। অতঃপর সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া পুরো সালাতে এ কর্ম ও কথাগুলো আদায় করবে। কারণ, তাকবীরে তাহরীমা প্রথম রাকা‘আতে অন্য রাকা‘আতে নয়। কুরআন থেকে তোমার যা সহজ হয় তা তিলাওয়াত করা দ্বারা উদ্দেশ্য কম পক্ষে সূরা ফাতিহা হওয়ার বিষয়টি হাদীসের বিভিন্ন বর্ণনা ও অন্যান্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত।