النصير
كلمة (النصير) في اللغة (فعيل) بمعنى (فاعل) أي الناصر، ومعناه العون...
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা তার দু’টি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে আমার নিকট ভিক্ষা চাইল। অতঃপর সে আমার নিকট একটি খুরমা ব্যতীত কিছুই পেল না। সুতরাং আমি তা তাকে দিয়ে দিলাম। মহিলাটি তার দু’মেয়েকে খুরমাটি ভাগ ক’রে দিল এবং সে নিজে তা থেকে কিছুই খেল না, অতঃপর সে উঠে বের হয়ে গেল। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। আমি তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তখন তিনি বললেন, “যাকে এই কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষায় ফেলা হয়, তারপর যদি সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, তাহলে এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে অন্তরাল হবে।”
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হার নিকট কোনো মহিলা তার দু’টি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করল। সে যেহেতু ফকীর ছিল তাই সে তার নিকট ভিক্ষা চাইল। তিনি বলেন, সে আমার নিকট একটি খুরমা ব্যতীত কিছুই পেল না। সে বলল, সুতরাং আমি তা তাকে দিয়ে দিলাম। মহিলাটি খুরমাটিকে দুই ভাগ করল। তারপর সে তার দু’মেয়েকে অর্ধেক ক’রে দিয়ে দিল এবং সে নিজে তা থেকে কিছুই খেল না। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশার নিকট প্রবেশ করলেন। তিনি তাঁকে বিষয়টি জানালেন। কারণ, এটি ছিল একটি আশ্চর্য ও অভিনব ঘটনা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বললেন, “যাকে এই কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষায় ফেলা হয়, তারপর যদি সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, তাহলে এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে অন্তরাল হবে। এখানে পরীক্ষায় ফেলা দ্বারা এ কথা বুঝা যায় না যে, তাকে কোন খারাপ বিপদে ফেলা হবে। বরং এখানে উদ্দেশ্য হলো যাকে দুটি কন্যা সন্তান দান করা হলো এবং সে তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ করল, তারা কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুণ থেকে অন্তরাল হবে। অর্থাৎ, সন্তানদের প্রতি দয়া করার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বিরত রাখবে। কন্যা সন্তান সাধারণত দূর্বল তারা কামাই উপার্যন করতে পারে না। পুরুষরাই উপার্যন করে থাকে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তাদের কতক কতকের ওপর ফযীলত দেওয়া এবং তারা তাদের সম্পদ থেকে খরচ করার কারণে পুরুষরা নারীদের ওপর দায়িত্বশীল। [সূরা নিসা, আয়াত: ৩৪]