الوكيل
كلمة (الوكيل) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) بمعنى (مفعول) أي:...
হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এক এমন বান্দাকেযাকে তিনি ধনৈশবর্য দ্বারা সমৃদ্ধ করেছেন; তাঁর কাছে হাজির করা হল। তিনি (আল্লাহ) তাকে বললেন, ‘তুমি দুনিয়াতে কি আমল করেছ?’ বর্ণনাকারী বলেন, অথচ আল্লাহর কাছে তারা (লোকেরা) কোন কথা গোপন রাখতে পারে না। সে বলল, ‘প্রভু! তুমি আমাকে ধনঐশ্বর্য দিয়েছিলে। আমি জনগণের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছি। আর উদারতা ছিল আমার বিশেষ অভ্যাস, ধনীর সাথে নমনীয় ব্যবহার দেখাতাম এবং গরীবদেরকে (সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত) অবকাশ দিতাম।’ মহান আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমার চাইতে এ ব্যাপারে অধিক হকদার। (হে ফেরেশতাবর্গ!) তোমরা আমার (এই) বান্দাকে ক্ষমা করে দাও।’ উক্ববাহ ইবনে আমের ও আবূ মাসঊদ আনসারী (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রমুখাৎ এরূপই শুনেছি।’
হুযায়ফা-রাদিয়াল্লাহু আনহু-সংবাদ দিচ্ছেন যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর এক বান্দাকে উপস্থিত করা হবে, যাকে তিনি অনেক সম্পদ দিয়েছেন। অতঃপর তার রব তার সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন, তা দ্বারা সে কী আমল করেছে? হুযায়ফা বলেন: “তারা আল্লাহর সামনে কোনো কথা গোপন করবে না।” অর্থাৎ তারা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা থেকে কোনো কথাই লুকাতে সমর্থ হবে না। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন, يَوْمَ تَشْهَدُ عَلَيْهِمْ أَلْسِنَتُهُمْ وَأَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ “যে দিন তাদের বিপক্ষে সাক্ষী দিবে তাদের জবান, তাদের হাত ও তাদের পা, যা তারা আমল করত।” (সূরা আন-নুর, আয়াত: ২৪) সে বলবে, হে আমার রব, আপনি আমাকে সম্পদ দিয়েছেন। আর আমি সেটা দিয়ে মানুষের সাথে লেনদেন করতাম।” অর্থাৎ বেচা-কেনা করে ও ঋণ দিয়ে মানুষের সাথে লেনদেন করতাম। আর আমি এ ক্ষেত্রে যে স্বভাবকে আঁকড়ে ধরে ছিলাম, তা হলো: ছাড় দেওয়া ও সহজ করা। অতঃপর সে তার কথার ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, “ধনীর উপর সহজ করতাম।” অর্থাৎ তাকে সুযোগ দিতাম এবং তার থেকে সামান্য ত্রুটি হলে সেটা গ্রহণ করতাম। আর “গরীবকে সময় দিতাম।” অর্থাৎ তার উপর ধৈর্য ধারণ করতাম। তার নিকট চাইতাম না এবং তার সময় বাড়িয়ে দিতাম। আল্লাহ তাআলা বলবেন: “তোমার অপেক্ষা এরূপ করার আমিই বেশী হকদার।” অর্থাৎ তুমি যেহেতু আমার বান্দাদের উপর সহজ করতে এবং আমার স্বভাব গ্রহণ করেছ, তাই তোমার উপর সহজ করা ও তোমাকে ক্ষমা করার ক্ষেত্রে সেই স্বভাবের আমি বেশী হকদার। “তোমরা আমার বান্দাকে ক্ষমা কর।” অর্থাৎ আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন এবং তার গুনাহসমূহ মাফ করবেন। কারণ সেও সহজ করত, ক্ষমা করত ও আল্লাহর বান্দাদের সাথে সুন্দর আচরণ করত। আর অনুগ্রহের বিনিময়ে অনুগ্রহ ছাড়া কিছুই নেই। উকবাহ বিন আমির ও আবূ মাসউদ আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে এরূপই শুনেছি। অর্থাৎ তারা উভয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোনো রকম হ্রাস ও বৃদ্ধি ব্যতীত সেরূপই শুনেছেন, যেরূপ হুযায়ফা-রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন।