البارئ
(البارئ): اسمٌ من أسماء الله الحسنى، يدل على صفة (البَرْءِ)، وهو...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক দিন) মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় একটি করে সাদকাহ রয়েছে। (আর সাদকাহ শুধু মাল খরচ করাকেই বলে না; বরং) দু’জন মানুষের মধ্যে তোমার মীমাংশা করে দেওয়াটাও সাদকাহ, কোনো মানুষকে নিজ সাওয়ারীর উপর বসানো অথবা তার উপর তার সামান উঠিয়ে নিয়ে সাহায্য করাও সাদকাহ, ভালো কথা বলা সাদকাহ, সালাতের জন্য কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ সাদকাহ এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করাও সাদকাহ।”
প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (আর তা হচ্ছে ৩৬০ দিন) প্রত্যেক গ্রন্থির ওপর সেদিন একটি করে সাদকাহ রয়েছে। এরপর তিনি সদকার বিভিন্ন উদাহরণ দিলেন, সেগুলো কথা, কর্ম, সীমাবদ্ধ, সম্প্রসারিত নানা প্রকার রয়েছে। সীমাবদ্ধ বলতে যার উপকারিতা কর্তার নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ আর সম্প্রসারিত বলতে যার উপকারিতা অপর পর্যন্ত পৌঁছায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাদীসে যা উল্লেখ করেছেন তা উদাহরণস্বরূপ, তবে সদকা এতেই সীমাবদ্ধ নয়। দু’জনের মাঝে বিচার-ফয়সালার ক্ষেত্রে ইনসাফ করা অথবা দু’জনের মাঝে সন্ধির ক্ষেত্রে ইনসাফ করা সদকা, তবে এগুলো অপর পর্যন্ত সম্প্রসারিত কথা-জাতীয় সদকা। অনুরূপ কাউকে তার সাওয়ারীর ওপর উঠতে সাহায্য করা অথবা সাওয়ারীর উপর তার সামান উঠিয়ে দিয়ে সাহায্য করা অপর পর্যন্ত সম্প্রসারিত কর্ম জাতীয় সাদকাহ। আর “ভালো কথা” দ্বারা সকল ভালো কথাকে বুঝায়, যেমন, যিকির, দো‘আ, কিরাত, তা‘লীম, সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজের নিষেধ প্রভৃতি কোনটি কর্তার নিজের ভেতর সীমাবদ্ধ কোনোটি অপর পর্যন্ত সম্প্রসারিত সদকা। সালাতের জন্য মুসলিমের কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ নিজের ওপর সাদকাহ, তবে এটি কর্ম-জাতীয় নিজের ওপর সীমাবদ্ধ সদকা। আর রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করা; যেমন, কাটা, পাথর অথবা কাঁচ ইত্যাদি কর্ম-জাতীয় সদকা, তবে তার উপকারিতা অপর পর্যন্ত সম্প্রসারিত।