القيوم
كلمةُ (القَيُّوم) في اللغة صيغةُ مبالغة من القِيام، على وزنِ...
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এই দো‘আ শিখিয়েছেন “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ইহকাল ও পরকালের আমার জানা-অজানা যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করি। “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ইহকাল ও পরকালের আমার জানা-অজানা যাবতীয় অনিষ্ঠতা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! তোমার বান্দা ও তোমার নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার নিকট যেসব কল্যাণ প্রার্থনা করেছেন আমিও তোমার নিকট সেইসব কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর যে সব ক্ষতি থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছে আমিও তোমার নিকট সে সব ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাত প্রার্থনা করি এবং যেসব কথা ও কাজ জান্নাতের নিকটবর্তী করে তার তৌফিক চাই। আর আমি তোমার নিকট জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং যে কথা ও কাজ দোযখের নিকটবর্তী করে দেয় তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে চাই যে, প্রতিটি ফায়সালা যা তুমি ফায়সালা কর, সে ফায়সালা যেন আমার জন্য কল্যাণকর হয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে এ দো‘আটি শেখান যে দো‘আটি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও উভয়ের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা, জান্নাত ও তার আমলসমূহের প্রার্থনা এবং জাহান্নাম ও তার আমলসমূহ থেকে বাঁচার প্রার্থনা সম্বলিত উপকারী বাক্যসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে আরো রয়েছে, আল্লাহর নিকট চাওয়া যে, তিনি যেন প্রত্যেক ফায়সালাকে তার জন্য কল্যাণকর করেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কল্যাণ চেয়েছেন সে কল্যাণের প্রার্থনা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন তা থেকে আশ্রয় চাওয়ার প্রার্থনা।