القيوم
كلمةُ (القَيُّوم) في اللغة صيغةُ مبالغة من القِيام، على وزنِ...
আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ ক’রে হয়!” উক্ত আদী হতে বুখারী-মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার রব কথা বলবেন; তার ও তাঁর মাঝে কোন আনুবাদক থাকবে না। (সেখানে) সে তার ডানদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকে তা-ই দেখতে পাবে যা সে অগ্রিম পাঠিয়েছিল। এবং বামদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকেও নিজের কৃতকর্ম দেখতে পাবে। আর তার সামনে তাকাবে, তখন তার চেহারার সামনে জাহান্নাম ছাড়া কিছুই দেখবে না। অতএব তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ ক’রে হয়। আর যে ব্যক্তি এরও সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ভাল কথা বলে বাঁচে।
আল্লাহ কিয়ামাতের দিন সব মানুষের সাথে কোন অনুবাদক ছাড়া সরাসরি আলাদাভাবে কথা বলবেন। তখন সে তার ডান দিকে দেখবে তখন তা-ই দেখতে পাবে যে আমল সে অগ্রিম পাঠিয়েছিল। এবং বামদিকে তাকাবে, সুতরাং সেদিকেও নিজের কৃতকর্ম দেখতে পাবে। তারপর সে তার সামনে তাকাবে, সুতরাং তার চেহারার সামনে জাহান্নাম দেখতে পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,অতএব তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ ক’রে হয় অথবা তার চেয়েও কম। যদি দান করার জন্য এক টুকরা খেজুরও না পাও যাতে জাহান্নাম থেকে বাঁচা যায়, তাহলে সুন্দর কথা দ্বারা জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকো। কারণ, নেক আমলকারীকে তার আমল জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে।