البحث

عبارات مقترحة:

القريب

كلمة (قريب) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فاعل) من القرب، وهو خلاف...

الجواد

كلمة (الجواد) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فَعال) وهو الكريم...

الشاكر

كلمة (شاكر) في اللغة اسم فاعل من الشُّكر، وهو الثناء، ويأتي...

জাবের ইবন সামুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন। আমি কি বকরীর গোশত খেয়ে ওযু করব? তিনি বললেন, “যদি চাও ওযু কর আর যদি না চাও ওযু করো না।” সে বলল, উটের গোশত খেয়ে ওযু করব কি? তিনি বললেন, “হ্যাঁ। উটের গোশত খেয়ে ওযু কর।” সে বলল, বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত আদায় করব কি? তিনি বললেন, “হ্যাঁ” সে বলল, উটের খোয়াড়ে/আস্তাবলে সালাত আদায় করব কি, তিনি বললেন, “না”

شرح الحديث :

হাদীসটি ব্যাখ্যা “আমি কি বকরীর গোশত খেয়ে ওযু করব?” এটি একজন সাহাবীর পক্ষ থেকে বকরীর গোশত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা যে, বকরীর গোশত ভক্ষণকারী যখন সালাত বা যেসব ইবাদত পালনে পবিত্রতা শর্ত তার ইচ্ছা করে, তার জন্যে ওযু করা ওয়াজিব কিনা? “যদি চাও ওযু কর আর যদি না চাও ওযু করো না।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ওযু করা ও না করা দু’টির মধ্যেই স্বাধীনতা দেন এবং দু’টিই বৈধ। সে বলল, উটের গোশত খেয়ে ওযু করব কি? অর্থাৎ উটের গোশত খাওয়ার পর যখন সালাতের ইচ্ছা করি অথবা যে সব বিধান পালনে পবিত্রতা শর্ত তা আদায় করার ইচ্ছা করি তখন তার জন্য ওযু করা ওয়াজিব কিনা? “হ্যাঁ। উটের গোশত খেয়ে ওযু কর” অর্থাৎ উটের গোশত খাওয়া দ্বারা তোমার ওপর ওযু করা ওয়াজিব, যদিও তা সামান্য হয়ে থাকে। তবে উটের দুধ ও তার গোশতের ঝোল খাওয়াতে ওযু করা ওয়াজিব নয়। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উরনায়াইনদের উটের দুধ খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তবে খাওয়ার পর তাদের ওযু করার নির্দেশ দেন নি। (যদি ওযু করা জরুরী হত, তিনি অবশ্যই তাদের নির্দেশ দিতেন কারণ) প্রয়োজনের সময় বিধান বর্ণনা না করে চুপ থাকা বৈধ নয়। “সে বলল, বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত আদায় করব কি?” অর্থাৎ যে জায়গায় বকরী আশ্রয় নেয় সে স্থানে সালাত আদায় করা যাবে কি? “তিনি বললেন, “হ্যাঁ” অর্থাৎ বকরীর তরফ থেকে কোনো ভয় না থাকার কারণে তোমার জন্য এই সব স্থানে সালাত আদায় করা বৈধ। “সে বলল, উটের খোয়াড়ে সালাত আদায় করব কি?” অর্থাৎ যে জায়গায় উট আশ্রয় নেয় সে স্থানে সালাত আদায় করা যাবে কি? তিনি বললেন, “না” অর্থাৎ তাতে তুমি সালাত আদায় করো না। কারণ, তার দৌড়াদৌড়ি আশঙ্কা থেকে নিরাপদ হওয়া যায় না। তখন মুসল্লীর গায়ে আঘাত লেগে তার ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের সম্ভাবনা বকরীর ক্ষেত্রে নেই। কারণ, তাতে রয়েছে অভয়। কারণ, বকরী কম লাফালাফি করে এবং তার থেকে কষ্টের আশঙ্কা নেই। সুবুলুস সালাম (১/৯৯), ফাতহু যিল জালালি ওয়াল ইকরাম (১/২৬৪), তাওযীহুল আহকাম (৩০৪,৩০৫), তাসহীলুল ইলমাম (১/১৯২,১৯৫)


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية