الحميد
(الحمد) في اللغة هو الثناء، والفرقُ بينه وبين (الشكر): أن (الحمد)...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “(প্রাচীনকালে) একটি লোক অন্য লোক হতে একটি জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় (প্রোথিত) একটি কলসী পেল, যাতে স্বর্ণ ছিল। জায়গার ক্রেতা বিক্রেতাকে বলল, ‘তোমার স্বর্ণ নিয়ে নাও। আমি তো তোমার জায়গা খরিদ করেছি, স্বর্ণ খরিদ করিনি।’ জায়গার বিক্রেতা বলল, ‘আমি তোমাকে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছি।’ অতঃপর তারা উভয়েই এক ব্যক্তির নিকট বিচার প্রার্থী হল। বিচারক ব্যক্তি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের সন্তান আছে কি?’ তাদের একজন বলল, ‘আমার একটি ছেলে আছে।’ অপরজন বলল, ‘আমার একটি মেয়ে আছে।’ বিচারক বললেন, ‘তোমরা ছেলেটির সাথে তার মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দাও এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ কর এবং দান কর।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দেন যে, এক লোক অন্য লোক হতে কিছু জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় (প্রোথিত) কিছু স্বর্ণ পেল। অত্যধিক পরহেজগার হওয়ার কারণে সে স্বর্ণ জমি বিক্রেতাকে ফেরত দিল। কারণ, সে তো জায়গা খরিদ করেছে, তাতে সংরক্ষিত স্বর্ণ খরিদ করেনি।’ বিক্রেতাও অধিক সতর্কতা ও পরহেজগারীর কারণে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করল।কারণ সে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছে।’ অতঃপর তারা উভয়েই বিবাধ করল এবং একজন বিচারকের কাছে গিয়ে বলল, তুমি একজনকে পাঠাও যে তা নিয়ে আসবে এবং তুমি ইচ্ছা মতো যেখানে চাও সেখানে রাখ। সে বিরত থাকলো এবং তাদের জিজ্ঞাসা করল, ‘তোমাদের সন্তান আছে কি?’ তাদের একজন বলল, ‘আমার একটি ছেলে আছে।’ অপরজন বলল, ‘আমার একটি মেয়ে আছে।’ বিচারক তাদের পরামর্শ দিল, ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দিতে এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ করতে ও তা থেকে দান করতে।”