الجبار
الجَبْرُ في اللغة عكسُ الكسرِ، وهو التسويةُ، والإجبار القهر،...
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মিনার দিবসগুলোতে তার নিকট এলেন যখন দু’টি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিল, আর তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু মেয়ে দুটিকে ধমক দিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখমণ্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বললেন, “হে আবূ বকর! ওদের বাঁধা দিও না। কেননা আজ ঈদের দিন।” আর সে দিনগুলো ছিল মিনার দিন। আয়েশা বলেন, হাবশীরা যখন মসজিদে (এর প্রাঙ্গনে) খেলাধুলা করছিল তখন আমি তাদের খেলা দেখছিলাম এবং আমি দেখছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আড়াল করে রেখেছেন। উমর হাবশীদের ধমক দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “ওদের ধমক দিও না। হে বণু আরফিদা! তোমরা যা করছিলে তা নিশ্চিতে করো।”
এ হাদীসে ইসলামী শরী‘আতের সহনীয়তা, উদারতা এবং তার বিধান যে অধিকাংশ কট্টর ও উগ্রপন্থী, যারা শরী‘আতকে কঠোর, অনমনীয় ও রুক্ষ্ণভাবে দেখে, তাদের বিরোধিতার বর্ণনা করা হয়েছে। হাদীসটিতে দফ বাজানো ও ঈদের দিনে আনন্দ করার বৈধতা আলোচনা করা হয়েছে। ঈদের দিনে দু’টি মেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে গান করলে যিনি তা বন্ধ করতে বলেছিলেন তাকে তিনি বাঁধা দেন। এমনিভাবে তরবারী ইত্যাদির দ্বারা খেলা করাও জায়েয। হাবশীগণ স্বভাবগতভাবেই খেলাধুলা ও আমোদ-প্রমোদ করতে পছন্দ করত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে তাদেরকে এ কাজ করতে অনুমতি দিয়েছিলেন শরী‘আতের গুরুত্বপূর্ণ হিকমতের দিকে লক্ষ্য রেখে, যা হাদীসের শব্দাবলীর প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায়। তাহলো: ১. যেসব লোক এখনো ইসলামকে কঠোর ও সহিংস ভেবে এখনও ইসলামে প্রবেশ করে নি তাদেরকে এ কথা জানিয়ে দেওয়া যে, ইসলাম ধর্ম উদার, প্রশন্ত ও সহজ-সরল ধর্ম। বিশেষ করে সেসব দলের মধ্যে ছিলো ইয়াহুদী ধর্ম যারা নিজেরা ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল আর অপরকেও তা থেকে নিষেধ করত। এ কারণেই কিছু হাদীসের শব্দাবলী এমন ছিলো যে, উমার তাদেরকে বাঁধা দিয়েছিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “ওদের ধমক দিও না। তাদেরকে খেলাধুলা করতে দাও। যাতে ইয়াহুদীরা বুঝতে পারে যে, ইসলাম ধর্মে রয়েছে প্রশস্ততা। আর আমি প্রেরিত হয়েছি মহানুভব ও সরলতা নিয়ে।” ২. তাদের খেলাধুলা ছিলো ঈদের দিনে। আর ঈদ মানে আনন্দ, খুশি ও বৈধ কাজ করার ব্যাপারে প্রশস্ততার দিন। ৩. পুরুষদের খেলাধুলায় রয়েছে তাদের শক্তিশালী, উদ্দীপ্ত ও বীরত্বের বহি: প্রকাশ।