المجيد
كلمة (المجيد) في اللغة صيغة مبالغة من المجد، ومعناه لغةً: كرم...
খারেজাহ ইবন হুযাফাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে বের হয়ে বললেন, “মহান আল্লাহ তোমাদেরকে (অতিরিক্ত আমল হিসেবে) বিতরের সালাত দান করেছেন যা লাল ঘোড়ার চেয়েও উত্তম। এ সালাতের সময়কাল ইশা থেকে ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।”
বিতরের ফজিলত বর্ণনায় খারেজাহ ইবন হুযাফাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত হাদীস, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে বাড়িয়ে দিয়েছেন।” অর্থাৎ তোমাদের আমলে কিছু ইবাদত বৃদ্ধি করেছেন এবং যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে তার জন্য রয়েছে অপরিসীম প্রতিদান। “এক প্রকার সালাত” এখানে সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য বিতরের সালাত। যেমনটি সামনের হাদীসে আসছে। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ফযিলত বর্ণনা করে বলেন: “বিতর সালাত তোমাদের জন্যে লাল ঘোড়ার চেয়েও উত্তম।” ‘আন-না‘আম’ শব্দটি উট, গরু ও বকরী অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে এখানে উদ্দেশ্য উট। অর্থাৎ তোমাদের জন্যে লাল বর্ণের উটের মালিক হওয়ার চেয়েও উত্তম। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষভাবে উটের কথা উল্লেখ করেছেন; অন্য কোন সম্পদের কথা উল্লেখ করেননি; কেননা লাল উট আরবদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান ও লোভনীয় সম্পদ। ব্যাপারটি যেহেতু এধরনেরই, তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের সালাতের ফজিলত লাল উট প্রাপ্তির চেয়েও উত্তম বলেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই উদ্বুদ্ধ করণের পরে তিনি উদ্দিষ্ট সালাতের কথা ঘোষণা দেন। এটি উম্মতের জন্য তাঁর পূর্ণাঙ্গ নসিহত যাতে তাঁর উম্মত সে সালাত আদায় করতে এগিয়ে আসে এবং তাতে যেন শিথিলতা না করে। তিনি তার বাণীতে উক্ত সালাতের কথা বলেন এভাবে, “আর তা হলো বিতর” সুতরাং বিতরের সালাত নিয়মিতভাবে আদায় করা মূল্যবান সম্পদ লাভের চেয়েও উত্তম; হোক তা উট বা অন্য কোন মূল্যবান সম্পদ। অতপর তিনি বিতরের ওয়াক্ত বর্ণনা করে বলেন, “তিনি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য বিতর সালাতের সময়কাল এশা থেকে ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নির্ধারণ করেছেন।” অর্থাৎ এশা সালাত আদায়ের পর থেকে বিতরের ওয়াক্ত শুরু হয়; যদিও কেউ এশার সালাত (সফরের কারণে) মাগরিবের সাথে একত্রে আদায় করে, তবুও এশার পরেই বিতরের ওয়াক্ত শুরু হবে। অন্যদিকে বিতরের শেষ সময় হলো ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। যখন ফজর উদিত হলে তখনই বিতর সালাতের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলো; যদি সে এর ভেতর বিতর আদায় করে নেয়, তবে সে বিতর পূর্ণই করে নিল।