الأحد
كلمة (الأحد) في اللغة لها معنيانِ؛ أحدهما: أولُ العَدَد،...
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল-বিকাল এ দু‘আ কখনই পরিত্যাগ করতেন না। বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি সুস্থতা ও নিরাপত্তা চাই আমার দীন ও দুনিয়ায়, আর আমার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদে। হে আল্লাহ! আমার দোষ ঢেকে রাখুন এবং আমার অন্তরে প্রশান্তি প্রদান করুন। আর আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনে হতে, পিছন হতে, ডান দিক হতে, বাম দিক হতে ও উপর দিক থেকে। আর আমি আপনার মহত্বের অসীলায় নিচের দিকে যমীনের মধ্যে ধ্বসে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল-বিকাল সর্বদা এ দো‘আ পড়ার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। তিনি কখনই তা পরিত্যাগ করতেন না। কেননা এ দু‘আটি মহা অর্থবোধক দু‘আ। এতে রয়েছে আল্লাহর কাছে দীনের ব্যাপারে নিরাপত্তা কামনা। এখানে দীনের ব্যাপারে নিরাপত্তা কামনার উদ্দেশ্য হলো, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা, দীনের বিরোধিতা ও বিদ‘আত থেকে দূরে থাকা। এতে আরো রয়েছে দুনিয়া, পরিবার পরিজন ও সম্পদের জন্য নিরাপত্তা কামনা। অর্থাৎ হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে দুনিয়ার যাবতীয় বালা-মুসিবত ও অকল্যাণ থেকে পানাহ চাই। আমি আমার পরিবার-পরিজনের জন্য যাবতীয় অনিষ্টকর সম্পর্ক, রোগ-ব্যাধি, অসুস্থতা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই এবং আপনি তাদেরকে রিযিকে প্রশস্ততা দান করুন। আমার ধন-সম্পদ যাবতীয় বিপদাপদ, সন্দেহযুক্ত ও হারাম পন্থায় উপার্জন থেকে রক্ষা করুন। “আমার দোষ গোপন রাখুন এবং আমার অন্তরে শান্তি প্রদান করুন।” অর্থাৎ যেসব দোষ ও অপরাধ প্রকাশ পেলে আমি লজ্জাবোধ করব সেসব দোষ ও অপরাধ গোপন রাখুন এবং ভয়-ভীতিকর অবস্থা থেকে আমাকে শান্তি প্রদান করুন। “আমাকে আমার সামনের দিক হতে, পিছনের দিক হতে, ডান দিক হতে, বাম দিক হতে এবং উপর দিকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন।” অর্থাৎ আমাকে ছয়দিক থেকে আগত যাবতীয় বালা-মুসিবত থেকে রক্ষা করুন। সুতরাং যে কোনো স্থান থেকেই হোক আমাকে যেনো বিপদ স্পর্শ করতে না পারে। “আমি আমার নিচের দিক থেকে যমীনের মধ্যে ধ্বসে যাওয়া যাওয়া থেকে আপনার মহত্বের কাছে আশ্রয় চাই।” অর্থাৎ সন্তর্পনে যমিনে ধ্বসে যাওয়া থেকে আপনার মহত্ব ও বড়ত্বের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।