الأحد
كلمة (الأحد) في اللغة لها معنيانِ؛ أحدهما: أولُ العَدَد،...
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এসে সর্বপ্রথম জামরায় গেলেন এবং তাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং কুরবানী করলেন। অতঃপর তিনি তার মাথার প্রথমে ডানদিকে ও পরে বামদিকে ইঙ্গিত করে নাপিতকে বললেন, ধর (চুল কাটো)। অতঃপর তিনি তা (চুল) লোকদের দিতে লাগলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কুরবানীর দিন) জামরায় কঙ্কর মারলেন, কুরবানীর পশুগুলো যবেহ করলেন এবং মাথা মুণ্ডন করলেন। প্রথমে তিনি তার মাথার ডান দিক নাপিতের দিকে এগিয়ে দিলেন, সে তা মুণ্ডন করল। তিনি আবূ তালহা আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে ডেকে চুলগুলো তাকে দিলেন। তারপর তিনি তাঁর মাথার বাম দিক বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, মুণ্ডন করো এবং সে (নাপিত) তা মুণ্ডন করল। তারপর তিনি কাটা চুল আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে দিয়ে বললেন, “যাও (এ চুলগুলো) লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিদায় হজে ঈদের দিন মিনায় আসলেন তখন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং তার হাদীগুলো যাবেহ করলেন। অতপর তিনি নাপিত ডেকে মাথা মুণ্ডন করলেন। প্রথমে তিনি তার মাথার ডান দিক নাপিতের দিকে এগিয়ে দিলেন, সে তা মুণ্ডন করল। তিনি আবূ তালহা আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে ডেকে তাকে ডান পাশের চুলগুলো দিলেন। তারপর তিনি তাঁর মাথার অবশিষ্ট চুল মণ্ডন করলেন। তারপর তিনি কাটা চুল আবূ তালহাকে দিয়ে বললেন, এ চুলগুলো লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। ফলে তিনি তা মানুষের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। কেউ একটি চল পেল, কেউ আবার দু’টো, কেউ আবার সুযোগ মতো অনেকগুলো চুল পেলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের চুলের দ্বারা বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে লোকজন এগুলো সংগ্রহ করলেন। আর এটি শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিদর্শনের সাথেই খাস।