الشكور
كلمة (شكور) في اللغة صيغة مبالغة من الشُّكر، وهو الثناء، ويأتي...
উম্মু ‘উমারা আল-আনসারিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একদিন তার নিকট গেলেন। তার সামনে তিনি খাবার রাখলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমিও খাও। তিনি বললেন, আমি তো রোজাদার। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রোজাদারের সামনে যখন খাবার আহার-কারীদের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা পেট ভরে না খাওয়া পর্যন্ত তার (রোজাদারের) জন্য ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।
উম্মু ‘উমারাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট গেলেন, ফলে তিনি তাঁর সামনে খাবার পরিবেশন করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, “তুমিও খাও।” তিনি বললেন, আমি সায়েম (সাওম পালনকারী)। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাওম পূর্ণ করা দেখে খুশি হয়ে বললেন, “সাওম পালনকারী ব্যক্তির সামনে যখন খাওয়া হয়, তখন খাবারের প্রতি তার মন ঝুঁকে পড়ে এবং তার সাওম পালন কঠিন হয়ে যায়। তখন “ফিরিশতাগণ তার জন্য দু‘আ করতে থাকে” অর্থাৎ সাওম পালনকারীর খাবার ত্যাগের কষ্টের বিনিময়ে তারা ইসতিগফার করতে থাকেন। “যতক্ষণ না তারা ফারিগ হয়” অর্থাৎ যতক্ষণ না খাদ্য গ্রহণকারীগণ তাদের খাবার থেকে ফারিগ হয়। কারণ, খাবারের উপস্থিতি তাকে খাবারের প্রতি আগ্রহী করে তুলে। যখন সে তার রবের আদেশ মান্য করতে এবং রবের নৈকট্য দানকারী ও তার ওপর রবকে সন্তুষ্টকারী কর্মকে সংরক্ষণ করতে নিজের প্রবৃত্তিকে দমন করে ও নিজেকে বিরত রাখে, তখন রবের আনুগত্যে সায়েম ব্যক্তির নিজের নফসকে বশ করতে দেখে ফিরিশতাগণ আর্শ্চয হয়ে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। হাদীসটি ফরয ও নফল উভয় প্রকারের সাওমকে অন্তর্ভুক্ত করে। হাদীসটি দ‘ঈফ হওয়ায় দলীল দেওয়ার উপযুক্ত নয়। দেখুন, মিরকাতুল মাফাতীহ (4/578); ফাইদুল কাদীর (2/359); বাহজাতুন নাযিরীন (2/392)।