الكريم
كلمة (الكريم) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل)، وتعني: كثير...
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিঙ্গা লাগানোর পর সালাত আদায় করেছেন অথচ অযু করেননি। তবে শুধু শিঙ্গা লাগানোর স্থানগুলো ধৌত করেছেন।
এ হাদীসে এসেছে যে, শিঙ্গা লাগানোর দ্বারা অযু ভঙ্গ হয় না। চাই নির্গত রক্ত অল্প হোক বা বেশি হোক। এ হাদীসটি দুর্বল হলেও অন্যান্য সহীহ হাদীছ দ্বারা তা সমর্থিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত আছে, অনেক হাদীসে তিনি তাঁর উম্মতকে শিঙ্গা লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজেও শিঙ্গা লাগিয়েছেন। যেমন তা সহীহ বুখারী-মুসলিম এবং অন্যান্য গ্রন্থে প্রমাণিত আছে। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমও শিঙ্গা লাগিয়েছেন। তা সত্ত্বেও এমন কোনো হাদীস পাওয়া যায় না, যেখানে শিঙ্গা লাগানোর পর অযুর নির্দেশ আছে। ফলে বুঝা গেল, পবিত্রতা বজায় থাকাই মূল। আর শরীয়তের কোনো দলীল ছাড়া এই পবিত্রতা রহিত হবে না। যদি কোনো দলীল পাওয়া যায় যে, পেশাব-পায়খানার রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো স্থান দিয়ে রক্ত বের হলে ওযু ভঙ্গ হয় তাহলে ওযু ভঙ্গ হবে। কিন্তু এমন কোনো দলীল পাওয়া যায় না। শরীর থেকে যা বের হয়, তার হুকুম শিঙ্গা লাগানোর কারণে নিগর্ত রক্তের হুকুমের মতই। সূঁই দিয়ে রক্ত বের করা, অপারেশনের কারণে রক্ত বের হওয়া অথবা রক্ত পরিস্কার করার জন্য তা বের করে পুনরায় দেহের মধ্যে ফেরত দেয়া যেমন কীডনী নষ্ট হয়ে যাওয়া রোগী এবং অন্যদের ক্ষেত্রে করা হয়। তবে পেশাব-পায়খানর রাস্তা থেকে বের হলে অযু নষ্ট হয়ে যাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিঙ্গা লাগানোর স্থানগুলো ছাড়া আর কিছুই ধৌত করেননি, -এই হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, শিঙ্গা লাগানোর স্থানগুলো থেকে রক্তের দাগ মুছার জন্য ধৌত করেছেন। সারমর্ম হলো: পায়খানা-পেশাবের রাস্তা ছাড়া শরীর থেকে যা বের হয় তা অযু ভঙ্গ করে না। চাই তা রক্ত হোক বা অন্য কিছু; চাই তা অল্প হোক বা বেশি হোক; চাই তা শিঙ্গার রাস্তা দিয়ে বের হোক বা অন্য পথে বের হোক; চাই তা ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছায়। যেহেতু আসল হলো, মূল হুকুম বজায় থাকা। তাওদীহুল আহকাম (১/৩১৬); তাসহীলুল ইলহাম (১/২০৪); ফতহু যিল যালালি ওয়াল ইকরাম (২৭৬); মানহাতুল আল্লাম ১/৩৪৫)।